সাংসারিক ১
তোমার চোখের আলো আমাকে
সমৃদ্ধ করে।
রাতের আকাশ লিখে রাখে
চাঁদের মহিমা,
সাংসার পালনে ব্যস্ত দলছুট লক্ষিপ্যাঁচা করে যায় বিষাদ যাপন।
শীত ঘুমে ডুব স্বপ্নেরা ইদানিং আমাকে মূক করে রাখে।
গুঁড়ো বরফ আর সবুজ
চায়ের স্বছতায় ঘোলা হয়ে আসে চোখ
ক্রমশ ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ
পারদের মত ভেসে যায়
সেই আলোনিলীনতায় দেখা হোক, আমাদের মৃত্যু হোক।।
সাংসারিক ২
সিঁথিরেখায় ছন্নছাড়া খুশিতে ছুটে
যাচ্ছে সকাল।
বাথরুমে পোষাকের খুলে যাওয়া বিষন্ন সংগীতে একাকী জলের নৃত্য
স্নান শেষে স্নানঘরের আলোয় আয়নায় সব মুখই সুন্দর
প্রাঞ্জল যুবতীর চোখ জলকনায় ভেসে বেড়ায় চুম্বনপ্রতীক্ষা;
বায়ুকোষের শুন্যতাকে রক্তশুন্য আঙুল বেঁধে রাখে
চারটি তারে
বিসর্জন শেষে ঢুলির ঢোলে
লেগে থাকা সিঁদুরের
মহান প্রয়াণকথা।
ঠোঁটে আঙ্গুল ছুঁয়ে আকাশে
উড়িয়ে
বিমর্ষ হয়ে গেল একা ঝাউবন
মৌনী ঠোঁটের কাছে উড়ে যাবে একদিন মহুয়ার মদ নিয়ে মৌটুসী পাখি।
আমি তো মুখর সব কবিতার কথা, আমাকে নিয়েই তার সমস্ত মৌনতা
ঠিক সময়ে এসে ভীরু বেড়ালের মতো সেঁধিয়েছি ওড়নায়
দেখি প্রায় উদোম শরীরে নেচে যাচ্ছে আমার পরবর্তী প্রজন্ম।।
No comments:
Post a Comment