Friday, June 25, 2010

উন্মাদ রাত্রির দিনোলিপি ৩

নষ্ট মুহুর্তেরা ক্লান্ত ঠোঁটের স্নেহতাপে
দ্রাঘিমা পেরিয়েও অন্তর্লীন জিঞ্জাসা!

তবে কেন,
জ্বলন্ত মোমের পাশে দাঁড়িয়ে
খুলেছিলে মেয়েবেলার আঁচল
স্ফীত তলপেট ছুঁয়েছিলো কম্পিত তালু

তবে কেন,
ছোঁয়াচে রোগের মত দ্রুত পায়ে
হেঁটে গিয়েছিলে তৃষ্ণার্ত ছায়াপথ ধরে
শূন্য ঘুমের নিস্তব্ধতায় এনেছিলে শরীরী স্পন্দন

প্লাবিত নদীর বুকের ধুমায়িত মেঘে ছিল আত্মহননের প্রতিশ্রুতি
তবে কেন, দলছুট ছোট্ট হাতিটির মত
অনাত্মীয় আত্মার সঙ্গে এখন শুধুই সাদা-রক্ত খেলা

ফিরতে তোমাকে হবেই দীর্ঘ সর্পিল চুম্বনের পর
তবে কেন.........

....................................


তেঁতুল পাতায় শুয়ে চাঁদের সঙ্গে শুরু খেলা...
আগুনের ঢেলা নাচে বুকের ভেতরে
নতুন ঋতুর গন্ধে জেগে ওঠে নতুন কিশোরী
চোখে তার অন্য এক ভাষা।

সে ভাষায় বিরহ ও মিলনের আশ্চর্য ইশারা।

শরীরে শরীর খুঁজছে সুখ ও অসুখ
ছুঁতে চায় বিন্দু ও ত্রিভূজ
নিখুঁত মুদ্রায়।

তেঁতুল পাতায় শুয়ে চাঁদের সঙ্গে শুরু খেলা
সে খেলায় বেড়ে যায় আকণ্ঠ পিপাসা।

........................


কেন যে বোঝ না তুমি
এই স্বাদ পুরোনো সঞ্চয়
বেঁছে থাকার ভেতরে অনর্গল স্বপ্ন বিনিময়।
তুমি তো শিকড় তুলে এনে দাও
প্রাসঙ্গিক রাত
টিউশন শেষে গরম গরম ভাত।

অফুরান ব্যর্থতায় আমি
ডাকটিকিটে সাঁটা বাদামী খাম
আর্দ্র চোখে মুছে ফেলি অনিশ্চিত ঘাম।

Monday, June 21, 2010

উন্মাদ রাত্রির দিনোলিপি ২

যৌনকোলাজের সাদা কালো নিশ্বাস
ক্রমশ আজ আক্সিজেন হয়ে উঠছে

সমস্ত আগ্নেয় পাহাড়ই এখন প্রবল সুপ্তিহীন
কঠিনপাঠ ঈশ্বর আজ সরে গেছে কত দূরে
কোনও রঙ মাখিনি কোথাও
তবুও কেমন এই বিচিত্র বসবাস

খোলা আকাশের নীচে আর্গলহীন
সমস্ত অশিল্পই আজ কী তীব্র চর্বচোষ্যলেহ্যপেয়
নিশ্চিন্তে শুয়ে আছে আত্মবিশ্বাসী গর্ভবাজার

জেনে শুনে অনিবার্য যখন ভুল করে যেতে হয়
সেই মতো ভ্রমে
সোজা ঢুকে যাই অনন্ত মজাঘর
শুধু দিন নয়, রাত নয় – অকাল আষ্টপ্রহর

........................

এক বিছানায় আমরা কাটিয়েছি সুদীর্ঘ জীবন। আজ মধ্যরাত্রে আকস্মাৎ তার দাড়ি কামাবার শব্দে আমার গভীর ঘুম ভেঙ্গে গেল। দেখলাম, অতিকায় রেজারে সে তুলে ফেলছে মৌখিক অভিব্যক্তি গুলি, ত্বকের বহুমাত্রিক আবরণ। তার শেষ অশ্রুপতনের শব্দে কেঁপে ওঠে রিখটার স্কেল, নদী পাড়ের মা। দেখি ঘরময় ছোটাছুটি করে ভয়ার্ত আয়না লুকাবার জায়গা খুঁজছে।
.........................................................
সম্পর্কটা পুরনো। তো, সেই সম্পর্কের
মধ্যেখানে যারা আসে তারা কেউ আস্ত
থাকে না। হেঁসেল হাসে। তবুও গ্রহের
ফেরে কেউ না কেউ... সর্ষে থেকে সূর্যাস্ত
পৃথিবীর ভাড়াটিয়া। শ্রীযুক্ত সুরেশ
মহিম-অচলার মাঝখানে, ঠিক তখনই—
গৃহদাহ! শরৎ বাবু প্রকৃত মরমী.........
হেঁসেলেরা কাড়ে – কাশে অন্তর প্রদেশ।
ফিসফিসিয়ে আঁধার হল – খাড়া তার টিকি
টানাপোড়েনের প্রেমে কথা কাটে লোকে।
শো ভাঙে সতত পথে, নামে চোখে জল।
সম্পর্কটা পুরনো তো, সেটাই আসল—
স্বদেশ গীতিকা লেখা উনুনের চোখে
শিল-নোড়া আদতে সহজ – কৃষ্ণ-প্রতিকী
....................................

উত্তাপ দিও না আর
আয়ুর কপালে হাত রেখে
ছবিতেই বেঁচে থাকা ভালো
ভোগহীন বয়সে যুবক
চকচকে জীবন্ত ল্যামিনেটেড
পেছনে আংটা আছে দুটো
টেবিলে রেখো, যদি মনে কর
দেওয়ালেও টাঙাতে পারো
যেমন ভালোবাসো।

Saturday, June 12, 2010

উন্মাদ রাত্রির দিনলিপি ১

সবাই একা, প্রত্যেকেই
একা একা
নিজের ভিতরে,
স্বজন বান্ধব অথবা প্রেয়সী-প্রিয়্তম
দূরত্বের আকাশ, আপাত
সংঙ্গে থাকে.........
আসলে একা ......... একাই,
নিজেরই ছায়ার সংঙ্গে নির্জনে
নিজেকে দেখা
কথা বলে যাওয়া
সকাল – দুপুর – সন্ধ্যায়।।

.............................

তোমার সুরক্ষা চাই আর কিছু নয়
আমার শরীর জুড়ে আদিগন্ত পাপ
প্রতিদিন মরি তাই দিনে আর রাতে
আমার ভুলের থেকে আরো দূরে যাও
আমার কাছেতে শুধু নামটুকু থাক
প্রিয় নাম গায়ে মেখে পাপক্ষয় করি
তোমার সুরক্ষাটুকু নিশ্চিত হলে
বিষন্ন শরীর জুড়ে বৃষ্টি নেমে আসে।।

...........................

কোথায় হারিয়ে ফেলেছি তাকে
এখন শুধু বন্দী জীবন......
পাথরেরা জেগে উঠেছে
দেওয়ালও পেতে আছে কান
দেওয়ালে দেওয়ালে আমি ওকে লিখলাম।

জানলায় উড়ে আসে সময় কংঙ্কাল
যার কাছে ফেলে আসি যৌবনের ঘ্রাণ
সমস্ত কপাট খুলে আমি উন্মাদ
ভেতরে ঢুকেছি তার, ভেতরে বাগান...
আজ লিখি নিজের কাছে নিজের নির্বাসন।।

...........................

কি ভয়ানক শূন্যতা
শূন্যতা এখন তোমার বুকেও বাজে
অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম লাগাও ক্ষতে
তুমি এখন অ্যানাকোন্ডা হও প্রতি রাতে।।